আমের ভাল ফলন পেতে এ সময়ে করণীয়


আম বাংলাদেশের জনপ্রিয় একটি ফল। বর্তমানে আমগাছে যথেষ্ট পরিমানে মুকুল দেখা যাচ্ছে। এ সময়ে সঠিক নিয়মে ওষুধ ব্যবহার করলে ভাল ফলন পাওয়া যেতে পারে।

প্রথম সমস্যা:

এ সময় আম গাছে হপার পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। যা কচি ফল ও ফুল রস চুষে খায় এবং ফল ঝড়ে পড়ে। আবার এ্যানথ্রাকনোজ নামক একটি রোগের ও আক্রমণ দেখা যায় যার ফলে পুরো মকুলটাই কালো হয় যায় ও পরে তা ঝরে পড়ে। পর্যাপ্ত পরিমানে মুকুল আসার পরও এসমস্ত পোকা ও রোগের আক্রমণের হলে গাছে ফলন মারাত্মকভাবে কমে যেতে পারে।

সমাধানঃ
এসমস্যা সমাধানের জন্য আম গাছে দুইবার সেপ্র করতে হবে। আম গাছে মুকুল আসার পর যখন ফুলগুলি কুঁড়ি অবস'ায় থাকে কিন' ফোটার পূর্বে একবার এবং আম মটর দানার মত আকার হওয়ার পর আর একবার মোট দুইবার সেপ্র করতে হবে।

ঔষধ প্রয়োগের নিয়মঃ
প্রতিলিটার পানিতে সাইপারমেথ্রিন জাতীয় কীটনাশক ১ মিলি এবং ম্যানকোজেব জাতীয় ছত্রাকনাশক ২ গ্রাম (পানি ১লিটার + সাইপারথ্রিনজাতীয় কীটনাশক ১মিলি + ম্যানকোজেব জাতীয় ছত্রাকনাশক ২ গ্রাম) একত্রে মিশিয়ে সমস্ত গাছ ভিজিয়ে সেপ্র করতে হবে।

লক্ষনীয় বিষয়ঃ
কৃষক ভাইদের মনে রখতে হবে যে গাছে মুকুল আসার পূর্বে যেমন সেপ্র করা প্রয়োজন নাই তেমন মুকুল ফোটা অবস'ায় কোন ভাবেই সেপ্র করা ঠিক নয় কারণ এ সময় প্রচুর পরিমান উপকারী পোকা আম বাগানে আসে এবং পরাগায়নে সহযোগিতা করে। মনে রাখতে হবে গাছে মুকুল আসার পর সঠিক ভাবে দুইবার সেপ্র দিতে পারলে প্রচুর পরিমান আম টিকে থাকবে।

দ্বিতীয় সমস্যা:

অনেক কৃষক ভাইয়েরা আমের গুটি ঝরে পড়ার সমস্যার কথা বলেন। আম গাছ থেকে স্বাভাবিক ভাবেই অনেক গুটি ঝড়ে পড়ে এতে চিন্তা করার কিছু নেই।  কারণ ভাল ফলনের জন্য প্রত্যেক মুকুলের ছড়ায় ২/১টি আম টিকে থাকায় যথেষ্ট।

কারণঃ
গাছে পানির অভাব হলেও ফল ঝরে পড়ে।

প্রতিকারঃ
আমের গুটি মটর দানা মত হবার পর ১০-১৫ দিন পরপর ২-৩ বার পানি সেচ দিতে পারলে গুটি ঝরা বন্ধ হবে এবং ফলন বেড়ে যাবে।

ছবি

•