Pages

Monday, 13 June 2011

ধান ও গম কাটা মেশিন

ধান ও গম কাটা মেশিন


কৃষি প্রধান বাংলাদেশে খাদ্যশস্যের মধ্যে ধান ও গম অন্যতম। দেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্য চাহিদা মেটানোর জন্য একদিকে যেমন উৎপাদন বাড়ানো দরকার তেমনি দরকার উৎপাদন খরচ কমানোর। আমাদের দেশে ফসল উৎপাদন ও আহরণের ক্ষেত্রে এখনো সনাতন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি ধান অতিরিক্ত শুকিয়ে ৪-৫% জমিতেই ঝরে পড়ছে।এ ধান ও গম কাটার সময়, খরচ ও শ্রম বাঁচিয়ে উৎপাদন খরচ কমাতে ধান ও গম কাটার যন্ত্র ব্যবহার করা যেতে পারে।

ব্যবহারের নিয়মাবলী : ইঞ্জিন চালু করার পূর্বে ফুয়েল ট্যাংক ডিজেল দ্বারা পূর্ণ করতে হবে। ইঞ্জিনে সঠিক গ্রেডের এবং প্রয়োজনীয় পরিমাণ লুব্রিকেন্ট ব্যবহার করতে হবে। বোল্ট ও চেইন টেনশন সঠিক রাখতে হবে। নাট, বোল্ট, ফিটিংস্ ইত্যাদি চেক করতে হবে। এরপর ইঞ্জিন টেনশন পুলির সহায়তায় ট্রান্সমিশন সিস্টেম হতে বিচ্ছিন্ন করে ইঞ্জিন চালু করতে হবে। ইঞ্জিন চালুর পর কাটার ব্লেড, চেইন লাগ, স্টার হুইল ইত্যাদি সঠিকভাবে কাজ করছে কিনা লক্ষ্য রাখতে হবে। ধান বা গম কর্তন আরম্ভ করার পূর্বে লক্ষ্য রাখতে হবে যদি জমির আইল ৬ ইঞ্চির বেশি উঁচু হয় তবে অবশ্যই জমির চারদিকে ফসল ১ ফুট পরিমাণ কাঁচির সাহায্যে পূর্বেই কর্তন করে নিতে হবে, এতে শস্য সঠিকভাবে ডান দিকে পড়বে।

সংরক্ষণ পদ্ধতি : ব্যবহারের পর যন্ত্রটি থেকে ঘাস, খড়, মাটি সম্পূর্ণরূপে পরিস্কার করতে হবে। ফুয়েল ট্যাংক হতে সম্পূর্ণ ফুয়েল বের করে পরিস্কার করতে হবে। কোনো অংশ ঢিলা হলে তা ঠিক করে নিতে হবে। যন্ত্রটির ঘূর্ণায়মান অংশগুলোতে এবং চেইনে মাঝে মাঝে মবিল দিতে হবে। মৌসুম শেষে ভালভাবে পরিস্কার করে শুষ্ক ও উপরে শেড যুক্ত স্থানে রাখতে হবে। কাটিং ব্লেড এবং চেইনে লুব্রিকেটিং অয়েল বা গ্রিজ দিয়ে রাখতে হবে ।

যন্ত্রের সুবিধা : যন্ত্রটি ঘণ্টায় ৬৫ থেকে ৭৫ শতাংশ জমির ফসল কাটতে পারে। এক ঘণ্টায় মাত্র আধা লিটার ডিজেল খরচ হয়। যন্ত্রটি চালাতে মাত্র একজন লোকের প্রয়োজন হয়। যন্ত্রটির ওজন কম তাই প্রয়োজনে রশি, বাঁশের সাহায্যে এক জমি থেকে অন্য জমিতে নেয়া যায় এবং পরিবহনের সময় জমির কোনো ক্ষতি হয় না। এর চাকা বিশেষভাবে তৈরির ফলে অল্প পরিমাণ কাদা ও পানি থাকলে জমিতে ব্যবহার করা যায়। যন্ত্রটির সকল পার্টস দেশর সর্বত্র পাওয়া যায় এবং সহজেই স্থানীয় ওয়ার্কশপে মেরামত যোগ্য । ধান ও গম কাটার যন্ত্র সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যেতে পারে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি শক্তি ও যন্ত্র বিভাগে।

No comments:

Post a Comment