চন্দ্রমল্লিকার বাণিজ্যিক চাষ
চন্দ্রমল্লিকার জাপানের জাতীয় ফুল। ফুলটা খ্রিষ্টমাসের সময় ফোটে বলেই বোধ হয় নাম ‘ক্রিসানথিমাম’? ক্রিসানথিমাম চন্দ্রমল্লিকার ইংরেজি নাম তবে এই নামকরণের পেছনে আরো একটা কারণ আছে। গ্রিক শব্দ ‘ক্রিসাম’ অর্থ সোনালি আর ‘থিমাম’ অর্থ ফুল। আদিতে হয়তো ফুলটা সে রকমই রঙের ছিল। তবে সোনালি রঙের থাকুক বা নাই থাকুক, সোনা রঙ পূর্ণিমার চাঁদের মতো ফুলের বাগান যে আলো করে সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। হয়তো ক্রিসানথিমামের বাংলা নামকরণের পেছনেও এ রকম একটা যুক্তি রয়েছে। চন্দ্রের মতো আলো আর চন্দ্রমল্লিকা ফুলের মতো পাপড়ির বিন্যাস, তাই ক্রিসানথিমাম বাংলাতে হয়ে গেছে ‘চন্দ্রমল্লিকার’। ভাব আর সাহিত্য, নামকরণ প্রভৃতি যায়ই হোক না কেন, তাতে ফুলচাষিদের কিছু যায় আসে না বরং ফুলটা চাষ করে কত লাভ হলো সেটাই এখন বিবেচ্য বিষয়। চন্দ্রমল্লিকার ফুল এখন এ দেশে বাণিজ্যিকভাবেই চাষ করা হচ্ছে।
এ দেশে বর্তমানে প্রায় ৪০ রকমের ফুল বাণিজ্যিক ভিত্তিতে এখন চাষ ও বাজারে বিক্রি হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি চাষ হচ্ছে গাঁদা ফুলের। এরপর রয়েছে গোলাপ, রজনীগন্ধা ও গস্ন্যাডিওলাস। সম্প্রতি দেশে চন্দ্রমল্লিকার ফুলের চাষও বাণিজ্যিকভাবে শুরু হয়েছে। আর এ ফুলটি বাণিজ্যিকভাবে চাষ কের সাভারে জনৈক চাষি সফলতাও পেয়েছেন বেশ। ঢাকা সাভারের রামচন্দ্রপুর ফুলবাড়িয়া ছাগীপাড়ার আব্দুল মান্নান এবারই প্রথম ২ বিঘা জমিতে চন্দ্রমল্লিকার ফুলের চাষ কের মাত্র ৪ মাসেই লাভ তুলে নিয়ছেন প্রায় দেড় লাখ টাকা। তিনি দীর্ঘ ১২ বছর ধরে ফুল চাষ করে আসছেন। কিন্তু এবারই প্রথম তিনি ২৫ জাতের চন্দ্রমল্লিকার চাষ করে এমন সাফল্য পেয়ে দারুণভাবে উৎসাহিত। তাই গোলাপ ও গস্ন্যাডিওলাসের পাশাপাশি চন্দ্রমল্লিকার ফুলের চাষও তিনি চালিয়ে যেতে ইচ্ছুক।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের খাদ্যশস্য উইংয়ের সূত্র মতে, দেশে ২০০৮-০৯ সনে প্রায় ২৫০০ হেক্টর জমিতে ফুল চাষ করা হয়। সে বছর সারা দেশে চন্দ্রমল্লিকার ফুলের চাষ হয়েছিল মোট ১৪ হেক্টর জমিতে। ঢাকা, জামালপুর, সিলেট, কুমিলস্না, শেরপুর, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, রাজবাড়ী, গাইবান্ধা ও দিনাজপুরে সে বছর চন্দ্রমল্লিকার ফুল চাষের কথা জানা যায়। এখন এ ফুল চাষের এলাকা ধীরে ধীরে বাড়ছে। তাই অনেক ফুলচাষিও অন্যান্য ফুলের তুলনায় বেশি লাভ ও ফুলের স্থায়িত্ব বেশি হওয়ার কারণে চন্দ্রমল্লিকার ফুল চাষের দিকে ঝুঁকে পড়ছেন। তবে সে সব চাষিরা যদি চন্দ্রমল্লিকার ফুল বৈজ্ঞানিক প্রথা মেনে চাষ করতে পারেন তাহলে তাদের আরো বেশি লাভ হবে। তাই তাদের জন্য চন্দ্রমলিস্নকার দারুণ ফুল ফোটানোর কলাকৌশলগুলো নিচে ধারাবাহিকভাবে আলোচনা করা হলো।
চন্দ্রমল্লিকার চাষের জমি ও মাটি কেমন হবে?
যে জমিতে পানি জমে না ও সরাদিন রোদ পায় এমন জমি চন্দ্রমল্লিকার চাষের জন্য নিতে হবে। চন্দ্রমল্লিকার চাষ করতে হলে এঁটেল মাটির জমি নির্বাচন করতে হবে। বেলে মাটিতে রস বেশি ধরে রাখা যায় না। এ জন্য সে মাটিতে গাছ ভালো হয় না। তেমনি এঁটেল মাটিতে সেচ দিলে রস বেশি থাকে বলে সেখানেও গাছ ভালো হয় না। মাটির অম্লমান বা পিএইচ ৬ থেকে ৭ এর মধ্যে আছে কি না তা পরীক্ষা করে নিতে হবে। মাটি পরীক্ষা করার সময় বা পিএইচ মাপার যন্ত্র দিয়ে এটা দেখা যেতে পারে। যদি এ মাত্রার মধ্যে না থাকে তাহলে মাটির পিএইচ-এর মধ্যে এনে নিতে হবে। পিএইচ ৬-এর কম মানে অম্লীয় মাটি। সে ক্ষেত্রে মাটিতে কিছুটা চুন প্রয়োগ করে অম্লত্ব কমানো তথা পিএইচ বাড়নো যেতে পারে। জৈবসার ব্যবহারেও সুফল পাওয়া যায়।
যে জমিতে পানি জমে না ও সরাদিন রোদ পায় এমন জমি চন্দ্রমল্লিকার চাষের জন্য নিতে হবে। চন্দ্রমল্লিকার চাষ করতে হলে এঁটেল মাটির জমি নির্বাচন করতে হবে। বেলে মাটিতে রস বেশি ধরে রাখা যায় না। এ জন্য সে মাটিতে গাছ ভালো হয় না। তেমনি এঁটেল মাটিতে সেচ দিলে রস বেশি থাকে বলে সেখানেও গাছ ভালো হয় না। মাটির অম্লমান বা পিএইচ ৬ থেকে ৭ এর মধ্যে আছে কি না তা পরীক্ষা করে নিতে হবে। মাটি পরীক্ষা করার সময় বা পিএইচ মাপার যন্ত্র দিয়ে এটা দেখা যেতে পারে। যদি এ মাত্রার মধ্যে না থাকে তাহলে মাটির পিএইচ-এর মধ্যে এনে নিতে হবে। পিএইচ ৬-এর কম মানে অম্লীয় মাটি। সে ক্ষেত্রে মাটিতে কিছুটা চুন প্রয়োগ করে অম্লত্ব কমানো তথা পিএইচ বাড়নো যেতে পারে। জৈবসার ব্যবহারেও সুফল পাওয়া যায়।
জমি কিভাবে তৈরি করতে হবে?
জাত বুঝে আগাম, মাঝ ও নাবি মৌসুমে চন্দ্রমল্লিকার চাষ করা যায়। আগাম চাষের জন্য মাঘ থেকে ফালগুন এবং শীত মৌসুমের চাষের জন্য ভাদ্র-আশ্বিন মাসের মধ্যে চন্দ্রমল্লিকার জন্য নির্বাচিত জমি সম্ভব হলে একটা চাষ দিয়ে ফেলে রেখে রোদ খাওয়াতে হবে। জমি যতটুকু পারা যায় গভীর করে চাষ দিতে হবে। ট্রাক্টর দিয়ে চাষ দিতে পারলে ভালো হয়। এ সময় জমিতে গুঁড়ো চুন ছিটাতে হবে। শেষ চাষের সময় জমির মাটির সাথে বিঘাপ্রতি ৩-৪৫ টন গোবর সার (পৌনে এক মিনিট্রাক), ২০ কেজি ইউরিয়া, ৬০ কেজি ডিএপি, ৪০ কেজি এমওপি সার দিতে হবে। জমিতে ৩ মিটার চওড়া করে বেড করতে হবে। প্রতিটি বেড লম্বায় ৫ মিটারের বেশি না হওয়া ভালো।
জাত বুঝে আগাম, মাঝ ও নাবি মৌসুমে চন্দ্রমল্লিকার চাষ করা যায়। আগাম চাষের জন্য মাঘ থেকে ফালগুন এবং শীত মৌসুমের চাষের জন্য ভাদ্র-আশ্বিন মাসের মধ্যে চন্দ্রমল্লিকার জন্য নির্বাচিত জমি সম্ভব হলে একটা চাষ দিয়ে ফেলে রেখে রোদ খাওয়াতে হবে। জমি যতটুকু পারা যায় গভীর করে চাষ দিতে হবে। ট্রাক্টর দিয়ে চাষ দিতে পারলে ভালো হয়। এ সময় জমিতে গুঁড়ো চুন ছিটাতে হবে। শেষ চাষের সময় জমির মাটির সাথে বিঘাপ্রতি ৩-৪৫ টন গোবর সার (পৌনে এক মিনিট্রাক), ২০ কেজি ইউরিয়া, ৬০ কেজি ডিএপি, ৪০ কেজি এমওপি সার দিতে হবে। জমিতে ৩ মিটার চওড়া করে বেড করতে হবে। প্রতিটি বেড লম্বায় ৫ মিটারের বেশি না হওয়া ভালো।
কখন কিভাবে চারা লাগাতে হবে?
আগামের জন্য বৈশাখের প্রথম সপ্তাহে এবং শীতের জন্য কার্তিকের মাঝামাঝি সময়ে চারা লাগাতে হবে। কাটিং লাগানো ভালো। সারি থেকে সারির দূরত্ব দেড় ফুট বা ৫০ সেন্টিমিটার দিয়ে চারা বা কাটিং লাগানো যায়। প্রতি সারিতে ৩০ সেন্টিমিটার পরপর চারা লাগানো যায়। তবে বড় গাছের জাতের বেলায় চারা থেকে চারার দূরত্ব কিছুটা বাড়ানো যেতে পারে। তবে অধিকাংশ জাতের চারা সব দিকে ৩০ সেন্টিমিটার দূরত্ব দিয়েও লাগানো যায়। এতে ফলন বেশি পাওয়া যায়। এই দূরত্ব দিলে বিঘাপ্রতি ১৪৫২০টি (একরে ৪৩৫৬০টি) চারা লাগে। চারা বিকেলে লাগাতে হবে। লাগানোর পর ঝাঁঝরি দিয়ে গোড়ায় পানি দিতে হবে। চারা লাগানোর সময় জমিতে ট্রাইকোডার্মা ভিরিডি নামক জীবাণু ছত্রাকবারক মাটির সাথে মিশিয়ে দিলে গাছে রোগ কম হয়। তবে ছত্রাকনাশক থিয়োভিটও মাটিতে সে সময় সারের সাথে ছিটিয়ে দেয়া যেতে পারে। এ ছাড়া চারা লাগানোর আগে চারার গোড়া প্রতি লিটার পানিতে ১ গ্রাম ব্যাভিস্টিন বা থিয়োভিট গুলে তাতে চারার গোড়া চুবিয়ে নিলে রোগ কম হয়। চারা লাগানোর পর নালা রেখে জমি বেড বা মিড়ি করে দিতে হবে।
আগামের জন্য বৈশাখের প্রথম সপ্তাহে এবং শীতের জন্য কার্তিকের মাঝামাঝি সময়ে চারা লাগাতে হবে। কাটিং লাগানো ভালো। সারি থেকে সারির দূরত্ব দেড় ফুট বা ৫০ সেন্টিমিটার দিয়ে চারা বা কাটিং লাগানো যায়। প্রতি সারিতে ৩০ সেন্টিমিটার পরপর চারা লাগানো যায়। তবে বড় গাছের জাতের বেলায় চারা থেকে চারার দূরত্ব কিছুটা বাড়ানো যেতে পারে। তবে অধিকাংশ জাতের চারা সব দিকে ৩০ সেন্টিমিটার দূরত্ব দিয়েও লাগানো যায়। এতে ফলন বেশি পাওয়া যায়। এই দূরত্ব দিলে বিঘাপ্রতি ১৪৫২০টি (একরে ৪৩৫৬০টি) চারা লাগে। চারা বিকেলে লাগাতে হবে। লাগানোর পর ঝাঁঝরি দিয়ে গোড়ায় পানি দিতে হবে। চারা লাগানোর সময় জমিতে ট্রাইকোডার্মা ভিরিডি নামক জীবাণু ছত্রাকবারক মাটির সাথে মিশিয়ে দিলে গাছে রোগ কম হয়। তবে ছত্রাকনাশক থিয়োভিটও মাটিতে সে সময় সারের সাথে ছিটিয়ে দেয়া যেতে পারে। এ ছাড়া চারা লাগানোর আগে চারার গোড়া প্রতি লিটার পানিতে ১ গ্রাম ব্যাভিস্টিন বা থিয়োভিট গুলে তাতে চারার গোড়া চুবিয়ে নিলে রোগ কম হয়। চারা লাগানোর পর নালা রেখে জমি বেড বা মিড়ি করে দিতে হবে।
সার কিভাবে দিতে হবে?
চারা মাটিতে ভালোভাবে লেগে বাড়তে শুরু করলে অর্থাৎ মাসখানেক বয়সের হলে জমিতে জৈব ও রাসায়নিক সার ইউরিয়া মিশিয়ে প্রতিটি গাছের গোড়ায় বা সারির মাঝখানের মাটিতে দিয়ে সেই মাটি গাছের গোড়ায় টেনে উঁচু করে দিতে হবে। বিঘাপ্রতি ৪০ কেজি ইউরিয়া সার দুই কিসিৱতে ভাগ করে দেয়া যেতে পারে। প্রথম কিস্তি চারা লাগানের এক মাস পর জৈবসারের সাথে, পরের কিসিৱ এর ১৫ দিন পরে। এর সাথে সম্ভব হলে প্রতিটি গাছের গোড়ায় ভার্মিকম্পোস্টের সাথে ট্রাইকোডার্মা ভিরিডি মিশিয়ে প্রয়োগ করলে ভালো হয়। বিঘায় ৫০০ কেজি ভার্মিকম্পোস্ট লাগে। এমনভাবে মাটি তুলে দিতে হবে যাতে বর্ষা বা সেচের পানি জমিতে জমে না থাকে। ভাদ্র মাসে যখন কুঁড়ি আসবে, তখন শেষ চাপান সার জমিতে দিতে হবে। এ সময় রাসায়নিক সারের সাথে বিঘাপ্রতি ৩০০ কেজি ভার্মিকম্পোস্ট বা কম্পোস্ট সার মিশিয়ে গাছের গোড়ায় দেয়া যেতে পারে।
গাছ শক্ত ও খাড়া রাখতে কি করতে হবে?
চন্দ্রমল্লিকার গাছ শক্ত না হলে বা হেলে পড়লে, লম্বা হলে ফুল নষ্ট হয়। তাই গাছে কাঠি পুঁতে ঠেস দিতে হবে। চন্দ্রমল্লিকার গাছ খুব লম্বা হয়ে গেলে ফুল ভালো হয় না। তাই গাছকে জাত বুঝে ৪ ফুটের মধ্যে লম্বা রাখতে পারলে ভালো হয়। এতে গাছ শক্ত হয়, ফুলও ভালো হয়। এজন্য গাছকে প্রথমে ২ ফুট পর্যন্ত বাড়তে দিতে হবে। এরপর গাছের ডগা ভেঙে দিলে ৬-৭টা ডাল বের হবে। প্রথম কিস্তির ইউরিয়া সার দেয়ার ১৫-২০ দিনের মাথায় ডগা ভেঙে দিতে হবে। সেসব গাছে বেশি ফুল ফুটবে আর গাছও খাটো থাকবে।
চন্দ্রমল্লিকার গাছ শক্ত না হলে বা হেলে পড়লে, লম্বা হলে ফুল নষ্ট হয়। তাই গাছে কাঠি পুঁতে ঠেস দিতে হবে। চন্দ্রমল্লিকার গাছ খুব লম্বা হয়ে গেলে ফুল ভালো হয় না। তাই গাছকে জাত বুঝে ৪ ফুটের মধ্যে লম্বা রাখতে পারলে ভালো হয়। এতে গাছ শক্ত হয়, ফুলও ভালো হয়। এজন্য গাছকে প্রথমে ২ ফুট পর্যন্ত বাড়তে দিতে হবে। এরপর গাছের ডগা ভেঙে দিলে ৬-৭টা ডাল বের হবে। প্রথম কিস্তির ইউরিয়া সার দেয়ার ১৫-২০ দিনের মাথায় ডগা ভেঙে দিতে হবে। সেসব গাছে বেশি ফুল ফুটবে আর গাছও খাটো থাকবে।
ফুলের যত্ন কিভাবে নিতে হবে?
তবে বাজারে যেসব চন্দ্রমল্লিকার ফুলের চাহিদা ভালো পাওয়া যায় যে ফুলের অন্তত ১ ফুট বা ৩০ সেন্টিমিটার ডাটা বা বোঁটা থাকে। এজন্য ফুল ফোটা শুরু হলে বা কুঁড়ি এলে মাথার কুঁড়ি বা ফুলটা রেখে তার বোঁটার নিচ থেকে গজানো অন্য কুঁড়িগুলো ১ ফুট পর্যন্ত ভেঙে দিতে হবে। এতে ফুলও বড় হবে।
তবে বাজারে যেসব চন্দ্রমল্লিকার ফুলের চাহিদা ভালো পাওয়া যায় যে ফুলের অন্তত ১ ফুট বা ৩০ সেন্টিমিটার ডাটা বা বোঁটা থাকে। এজন্য ফুল ফোটা শুরু হলে বা কুঁড়ি এলে মাথার কুঁড়ি বা ফুলটা রেখে তার বোঁটার নিচ থেকে গজানো অন্য কুঁড়িগুলো ১ ফুট পর্যন্ত ভেঙে দিতে হবে। এতে ফুলও বড় হবে।
রোগপোকা লাগলে কি করবেন?
চন্দ্রমল্লিকার গাছে শীতকালে তেমন কোনো রোগ-পোকার উপদ্রব সাধারণত হয় না। গরম পড়া শুরু হলে জাবপোকা ধরে, এরা পাতা ও কুঁড়ি থেকে রস শুষে খেয়ে নষ্ট করে ও ভাইরাস রোগ ছড়ায়। এ ছাড়া থ্রিপস পোকাও পাতা থেকে রস চুষে খায়। এতে পাতা বেঁকে কুঁকড়ে যায়। ফুল ও কুঁড়ি আক্রান্ত হলে সেগুলোও শুকিয়ে যায়। পাতায় ম্যাপের মতো আঁকাবাঁকা সুড়ঙ্গ করে খায় পাতা সুড়ঙ্গকারী এক ধরনের পোকার কীড়া বা বাচ্চা মাকড়ের আক্রমণও দেখা যায়। তবে এ দেশে চন্দ্রমল্লিকার জমিতে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় বিছা পোকা ও জাবপোকা। রোগের মধ্যে শিকড়ে গিঁট রোগ হয়। এটি কৃমিজনিত রোগ। এ রোগ হলে গাছ বসে পড়ে, সহজে বাড়ে না, গাছ টেনে মাটি থেকে তুললে শিকড়ে ছোট ছোট গিঁট দেখা যায়। পাতায় সাদা পাউডারের মতো গুঁড়ার আবরণ পড়ে, একে বলে সাদা গুঁড়া বা পাউডারি মিলডিউ রোগ। রোগ হলে ছত্রাকনাশক এবং পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণের জন্য নিমতেল বা নিমজাত কৃষিবিষ স্প্রে করতে হবে। অগত্যা অনুমোদিত কীটনাশক স্প্রে করতে হবে। তবে ক্ষেত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখলে অর্থাৎ আগাছা পরিষ্কার করে রাখলে ও রোগ বা পোকা দেখা গেলে তা সংগ্রহ করে ধ্বংস করলে বালাইয়ের আক্রমণ কমে যায় বা বাড়তে পারে না।
চন্দ্রমল্লিকার গাছে শীতকালে তেমন কোনো রোগ-পোকার উপদ্রব সাধারণত হয় না। গরম পড়া শুরু হলে জাবপোকা ধরে, এরা পাতা ও কুঁড়ি থেকে রস শুষে খেয়ে নষ্ট করে ও ভাইরাস রোগ ছড়ায়। এ ছাড়া থ্রিপস পোকাও পাতা থেকে রস চুষে খায়। এতে পাতা বেঁকে কুঁকড়ে যায়। ফুল ও কুঁড়ি আক্রান্ত হলে সেগুলোও শুকিয়ে যায়। পাতায় ম্যাপের মতো আঁকাবাঁকা সুড়ঙ্গ করে খায় পাতা সুড়ঙ্গকারী এক ধরনের পোকার কীড়া বা বাচ্চা মাকড়ের আক্রমণও দেখা যায়। তবে এ দেশে চন্দ্রমল্লিকার জমিতে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় বিছা পোকা ও জাবপোকা। রোগের মধ্যে শিকড়ে গিঁট রোগ হয়। এটি কৃমিজনিত রোগ। এ রোগ হলে গাছ বসে পড়ে, সহজে বাড়ে না, গাছ টেনে মাটি থেকে তুললে শিকড়ে ছোট ছোট গিঁট দেখা যায়। পাতায় সাদা পাউডারের মতো গুঁড়ার আবরণ পড়ে, একে বলে সাদা গুঁড়া বা পাউডারি মিলডিউ রোগ। রোগ হলে ছত্রাকনাশক এবং পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণের জন্য নিমতেল বা নিমজাত কৃষিবিষ স্প্রে করতে হবে। অগত্যা অনুমোদিত কীটনাশক স্প্রে করতে হবে। তবে ক্ষেত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখলে অর্থাৎ আগাছা পরিষ্কার করে রাখলে ও রোগ বা পোকা দেখা গেলে তা সংগ্রহ করে ধ্বংস করলে বালাইয়ের আক্রমণ কমে যায় বা বাড়তে পারে না।
ফুল তুলতে হবে কিভাবে?
জাতভেদে চন্দ্রমল্লিকার গাছে এক এক সময় ফুল আসে। যেমন ‘চন্দ্রমা’ জাতের ফুল চারা লাগানোর সাড়ে তিন থেকে চার মাসের মাথায় পুরো ফুল তোলা যায়। অন্য দিকে ‘স্নো বল’ জাতের ফুল পেতে চারা লাগানোর পর প্রায় ৫ থেকে সাড়ে পাঁচ মাস অপেক্ষা করতে হয়। তবে সাধারণভাবে চারা লাগানোর ১ থেকে দেড় মাস পর থেকেই গাছে কুঁড়ি আসতে শুরু করে। এর কিছু দিন পর থেকেই ফুল ফোটা শুরু হয়। ফুল ফোটা চলতে থাকে প্রায় ১ থেকে দেড় মাস ধরে। ফুল ডাটিসহ তুলতে হয়। বাঁশের ঝুড়িতে আঁটি বেঁধে কাগজে প্যাকিং করে বাজারে পাঠাতে হয়। খবরের কাগজের পরিবর্তে সেগুন বা শালপাতা দিয়ে মুড়েও প্যাকিং করা যায়। নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ফুল তোলার কাজ চলে। ফুল প্রায় ২৮-৩০ দিন তাজা থাকে যদি ডাটার গোড়া পানিতে ডুবিয়ে রাখা যায়।
জাতভেদে চন্দ্রমল্লিকার গাছে এক এক সময় ফুল আসে। যেমন ‘চন্দ্রমা’ জাতের ফুল চারা লাগানোর সাড়ে তিন থেকে চার মাসের মাথায় পুরো ফুল তোলা যায়। অন্য দিকে ‘স্নো বল’ জাতের ফুল পেতে চারা লাগানোর পর প্রায় ৫ থেকে সাড়ে পাঁচ মাস অপেক্ষা করতে হয়। তবে সাধারণভাবে চারা লাগানোর ১ থেকে দেড় মাস পর থেকেই গাছে কুঁড়ি আসতে শুরু করে। এর কিছু দিন পর থেকেই ফুল ফোটা শুরু হয়। ফুল ফোটা চলতে থাকে প্রায় ১ থেকে দেড় মাস ধরে। ফুল ডাটিসহ তুলতে হয়। বাঁশের ঝুড়িতে আঁটি বেঁধে কাগজে প্যাকিং করে বাজারে পাঠাতে হয়। খবরের কাগজের পরিবর্তে সেগুন বা শালপাতা দিয়ে মুড়েও প্যাকিং করা যায়। নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ফুল তোলার কাজ চলে। ফুল প্রায় ২৮-৩০ দিন তাজা থাকে যদি ডাটার গোড়া পানিতে ডুবিয়ে রাখা যায়।
ফলন ও লাভ কত?
গাছ ভালো হলে বিঘাপ্রতি ৬০ থেকে ৮০ হাজার ফুল পাওয়া যায়। প্রতিটি ফুল ১ টাকা দামে বিক্রি হলেও বিঘাপ্রতি ৬০ থেকে ৮০ হাজার টাকার ফুল বিক্রি হতে পারে। নিজের জমি থাকলে খরচ বাদে বিঘাপ্রতি প্রায় ৫০ হাজার টাকা এক মৌসুমে লাভ হতে পারে। অমৌসুমে বা আগাম-নাবি করে চাষ করলে আরো বেশি লাভের সম্ভাবনা থাকে। ফুল পুরোপুরি তোলার পর সেসব গাছ থেকে কাটিং করে চারা উৎপাদন করে নার্সারি বা অন্য চাষিদের কাছে বিক্রি করতে পারলে আরো বেশি লাভ হবে। যে জমিতে চন্দ্রমল্লিকার চাষ করা হয় শীতকালে, সে জমিতে চন্দ্রমল্লিকার ফুল চাষ শেষে রজনীগন্ধা ও গোলাপ চাষ করা যায়। য়
গাছ ভালো হলে বিঘাপ্রতি ৬০ থেকে ৮০ হাজার ফুল পাওয়া যায়। প্রতিটি ফুল ১ টাকা দামে বিক্রি হলেও বিঘাপ্রতি ৬০ থেকে ৮০ হাজার টাকার ফুল বিক্রি হতে পারে। নিজের জমি থাকলে খরচ বাদে বিঘাপ্রতি প্রায় ৫০ হাজার টাকা এক মৌসুমে লাভ হতে পারে। অমৌসুমে বা আগাম-নাবি করে চাষ করলে আরো বেশি লাভের সম্ভাবনা থাকে। ফুল পুরোপুরি তোলার পর সেসব গাছ থেকে কাটিং করে চারা উৎপাদন করে নার্সারি বা অন্য চাষিদের কাছে বিক্রি করতে পারলে আরো বেশি লাভ হবে। যে জমিতে চন্দ্রমল্লিকার চাষ করা হয় শীতকালে, সে জমিতে চন্দ্রমল্লিকার ফুল চাষ শেষে রজনীগন্ধা ও গোলাপ চাষ করা যায়। য়
No comments:
Post a Comment