লবণাক্ততা এলাকায় উফশী আমন ও বোরো ধান উৎপাদন
ধান উৎপাদনে বাংলাদেশ প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে সৰম হয়েছে। কিন্তু এ স্বয়ম্ভরতা ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা বৃদ্ধির চাপে এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে স্থায়িত্ব পাচ্ছে ন া। তাই প্রতি একক পরিমাণ জমি হতে একক সময়ে আরো বেশি ধান উৎপাদন একান্ত অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে আমাদের দেশের অধিকাংশ জমি দু-ফসল চাষের আওতায় এসেছে। শুধু দেশের দৰিণাঞ্চলের অধিকাংশ জমি এখনও একফসলি এবং বেশিরভাগ কৃষক আজও সনাতন পদ্ধতিতে চাষাবাদ করে থাকেন। বৃষ্টিপাতের ওপর নির্ভর করে আমন মৌসুমে এতদাঞ্চলের অধিকাংশ জমিতে দেশি জাতের ধান চাষাবাদ করা হয়- যার ফলন হেক্টরপ্রতি ২.০ থেকে ২.৫ টন মাত্র। শুষ্ক মৌসুমে অধিকাংশ জমি পতিত থাকে। তবে কিছু কিছু এলাকায় রবিশস্য ও চিংড়ির চাষও করা হচ্ছে। অথচ আধুনিক কৃষির আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের অধিকাংশ কৃষকেরা দুটি উচ্চ ফলনশীল ধান চাষ করে বছরে হেক্টরপ্রতি ৮-১০ টন ধান অনায়াসেই উৎপাদন করে চলেছেন।
মাটি ও পানির লবণাক্তাতা দেশের দৰিণাঞ্চলের উৎপাদন বৃদ্ধির প্রধান অন্তরায় বলে বিবেচিত। কৃষকদের লবণাক্ততা ওঠানামার ধরন ও আধুনিক কৃষি সম্বন্ধে সম্যক ধারণার অভাবও এতদঞ্চলের উৎপাদন বৃদ্ধির অন্তরায় হিসেবে গণ্য করা হয়। গবেষণায় দেখা গেছে যে, সমুদ্র তীরবর্তী এলাকার মাটি ও পানি সব সময় লবণাক্ত থাকে না এবং পরিকল্পিত উপায়ে এ পানি ব্যহার করে আমন ও বোরো মৌসুমে উফশী ধান চাষ করা সম্ভব। সুতরাং দেশের খাদ্য চাহিদা পূরণ ও কৃষকদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নের স্বার্থে তাদের এসব তথ্য ও প্রযুক্তি সম্বন্ধে সম্যক ধারণা প্রদান ও উদ্বুদ্ধকরণ একান্ত অপিরিহার্য।
মাটি ও পানির লবণাক্তাতা দেশের দৰিণাঞ্চলের উৎপাদন বৃদ্ধির প্রধান অন্তরায় বলে বিবেচিত। কৃষকদের লবণাক্ততা ওঠানামার ধরন ও আধুনিক কৃষি সম্বন্ধে সম্যক ধারণার অভাবও এতদঞ্চলের উৎপাদন বৃদ্ধির অন্তরায় হিসেবে গণ্য করা হয়। গবেষণায় দেখা গেছে যে, সমুদ্র তীরবর্তী এলাকার মাটি ও পানি সব সময় লবণাক্ত থাকে না এবং পরিকল্পিত উপায়ে এ পানি ব্যহার করে আমন ও বোরো মৌসুমে উফশী ধান চাষ করা সম্ভব। সুতরাং দেশের খাদ্য চাহিদা পূরণ ও কৃষকদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নের স্বার্থে তাদের এসব তথ্য ও প্রযুক্তি সম্বন্ধে সম্যক ধারণা প্রদান ও উদ্বুদ্ধকরণ একান্ত অপিরিহার্য।
মাটি ও পানির লবণাক্তা
দেশের দৰিণাঞ্চলের বেশিরভাগ জমির লবণাক্ততা মার্চ থেকে মে মাসে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়। এ সময় ধানী জমির লবণাক্ততা ওঠানামা করে। বৃষ্টিপাত শুর্ব হলে মাটির লবণাক্ততা কমতে শুর্ব করে এবং জুলাই মাসে লবণ বিধৌত হয়ে জমি ধান চাষের উপযুক্ত হয়ে উঠে। দেশের দৰিণাঞ্চলের অধিকাংশ জমিতে আমন মৌসুমে মাটির লবণাক্তা কম থাকে বিধায় এ সময় যে কোনো উফশী ধান চাষ করা যায়। তাছাড়া অধিকাংশ নদীর পানি এসময় লবণাক্ত থাকে না তাই খরার সময় এ পানি ব্যবহার করে আমন ধানে সেচ প্রদানের মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত ফলন পাওয়া যায়। দেশের দৰিণ-পূর্ব অঞ্চলের চেয়ে দৰিণ-পশ্চিম অঞ্চলের মাটি ও নদীর পানির লবণাক্ততা অনেক বেশি বলে পরিলৰিত হয়। আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের তত্ত্বাবধানে এবং বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তর, সোসিও কনসাল্ট, হিড বাংলাদেশ ও প্রশিকার অংশগ্রহণের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের সম্পৃক্ততায় দেশের দৰিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ২০০১-২০০৭ সন পর্যন্ত পরিচালিত গবেষণায় দেখা গেছে যে, খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা উপজেলার কাজীবাছা নদীর পানি জুলাই থেকে ফেব্র্বয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত অলবণাক্ত অথবা কম লবণাক্ত থাকে। আবহাওয়ার তারতম্যের ওপর ভিত্তি করে কোনো কোনো বছর ফেব্র্বয়ারি মাসের শুর্বতে নদীর পানিতে মাত্রাতিরিক্ত লবণাক্তা পরিলৰিত হয়। দৰিণ-মধ্যাঞ্চল ও দৰিণ-পূর্বাঞ্চলের নদীর পানি আরো বেশি সময় সেচ দেয়ার জন্য উপুুক্ত থাকে।
বৃষ্টি ও নদীর পানি ব্যবহার করে উফশী আমন ধান চাষ
দেশের দৰিণাঞ্চলের বেশিরভাগ জমির লবণাক্ততা মার্চ থেকে মে মাসে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়। এ সময় ধানী জমির লবণাক্ততা ওঠানামা করে। বৃষ্টিপাত শুর্ব হলে মাটির লবণাক্ততা কমতে শুর্ব করে এবং জুলাই মাসে লবণ বিধৌত হয়ে জমি ধান চাষের উপযুক্ত হয়ে উঠে। দেশের দৰিণাঞ্চলের অধিকাংশ জমিতে আমন মৌসুমে মাটির লবণাক্তা কম থাকে বিধায় এ সময় যে কোনো উফশী ধান চাষ করা যায়। তাছাড়া অধিকাংশ নদীর পানি এসময় লবণাক্ত থাকে না তাই খরার সময় এ পানি ব্যবহার করে আমন ধানে সেচ প্রদানের মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত ফলন পাওয়া যায়। দেশের দৰিণ-পূর্ব অঞ্চলের চেয়ে দৰিণ-পশ্চিম অঞ্চলের মাটি ও নদীর পানির লবণাক্ততা অনেক বেশি বলে পরিলৰিত হয়। আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের তত্ত্বাবধানে এবং বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তর, সোসিও কনসাল্ট, হিড বাংলাদেশ ও প্রশিকার অংশগ্রহণের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের সম্পৃক্ততায় দেশের দৰিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ২০০১-২০০৭ সন পর্যন্ত পরিচালিত গবেষণায় দেখা গেছে যে, খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা উপজেলার কাজীবাছা নদীর পানি জুলাই থেকে ফেব্র্বয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত অলবণাক্ত অথবা কম লবণাক্ত থাকে। আবহাওয়ার তারতম্যের ওপর ভিত্তি করে কোনো কোনো বছর ফেব্র্বয়ারি মাসের শুর্বতে নদীর পানিতে মাত্রাতিরিক্ত লবণাক্তা পরিলৰিত হয়। দৰিণ-মধ্যাঞ্চল ও দৰিণ-পূর্বাঞ্চলের নদীর পানি আরো বেশি সময় সেচ দেয়ার জন্য উপুুক্ত থাকে।
বৃষ্টি ও নদীর পানি ব্যবহার করে উফশী আমন ধান চাষ
অংশীদারিত্বমূলক গবেষণায় দেখা গেছে যে, দেশের দৰিণ-পশ্চিমাঞ্চলে আমন মওসুমে অধিকাংশ জমিতে তেমন লবণাক্ততা থাকে না বিধায় এ সময় যে কেনো উফশী জাতের আমন ধান চাষ করে হেক্টরপ্রতি ৪-৬ টন ধান উৎপাদন করা যায়। জুলাই মাসের শেষ দিকে প্রায় এক মাস বয়সী ধানের চারা রোপণ করে নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময় ধান কাটা যায় (চিত্র-১)। আমন মৌসুমে যথেষ্ট বৃষ্টিপাত হয় বিধায় সাধারণত সেচ দেয়ার প্রয়োজন পড়ে না। তবে খরা দেখা দিলে নদীর পানি সেচ কাজে ব্যবহার করে উচ্চফলন নিশ্চিত করা সম্ভব। আমন মৌসুমে উফশী ধান চাষ?করলে একদিকে যেমন উৎপাদন বাড়বে, অন্যদিকে তেমনি বোরো ধান চাষ কিছুটা এগিয়ে?আনা যাবে। ফলশ্র্বতিতে বোরো ধান চাষের শেষ?দিকে লবণাক্ততা বৃদ্ধিজনিত ঝুঁকি অনেকটা কমে আসবে। উলেৱখ্য দৰিণাঞ্চলের কৃষকরা আমন মৌসুমে অধিকাংশ জমিতে যেসব দেশি জাতের চাষ করেন, তা কাটতে প্রায় ডিসেম্বর মাস শেষ?হয়ে যায়। তাই বোরো ধান লাগাতে দেরি হয়ে যায়; ফলে পানির লবণাক্তাতা বৃদ্ধির কারণে শেষের দিকে পর্যাপ্ত সেচের পানির অভাবে কাঙ্ক্ষিত ফলন পাওয়া সম্ভব হয় না।
নদীর পানি ব্যবহার করে বোরো ধান চাষ
আমন ধান কাটার পর নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে বীজতলা?তৈরি করে ডিসেম্বর মাসের প্রথমার্ধে বোরো ধান রোপণ করা যায় (চিত্র-১। বোরো মৌসুমে বৃষ্টিপাত তেমন হয় না বিধায় দেশের দৰিণ-পশ্চিমাঞ্চলে জমি চাষ করা থেকে শুর্ব করে ফেব্র্বয়ারি মাসের প্রথমার্ধ পর্যন্ত জোয়ারের সময় নদীর পানি দিয়ে সেচ প্রদান করা যায়। দৰিণাঞ্চলের অধিকাংশ এলাকায় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড মাটির বাঁধ ও সৱূইস গেট নির্মাণ করে জমিতে লবণাক্ত পানি প্রবেশ বন্ধ ও বৃষ্টির অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশণের মাধ্যমে ধান উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য অসংখ্য পোলডার নির্মাণ করেছে। জোয়ার-ভাটা পৱাবণ নদীতে জোয়ারের সময় পানির উপরিতল জমির তল অপেৰা উঁচু থাকে বিধায় সৱুইস গেট খুলে দিলে অনায়াসেই নদীর পানি ধান ৰেতে প্রবেশ করবে এবং ধানের পানির চাহিদা পূরণ করতে সৰম হবে। যে সব জায়গায় এ ধরনের সুবিধা আছে, সে সব জায়গায় নভেম্বর মাস থেকে ফেব্র্বয়ারি মাসের প্রথমার্ধ পর্যন্ত সেচের জন্য পানি পাম্প করা প্রয়োজন হবে না অর্থাৎ সেচের জন্য কোনো খরচ হবে না। তবে ফেব্র্বয়ারি মাসের মাঝামাঝি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত সেচের জন্য এ পদ্ধতি কার্যকর হবে না। এ কৌশল অবলম্বন করে খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা উপজেলার কিসমতফুলতলা গ্রামে ব্রিধান ২৮ জাতের বোরো ধান চাষ করে হেক্টরপ্রতি ৪-৫ টন ধান উৎপাদন কর সম্ভব হয়েছে। আমাদের দেশের উপকূলীয় এলাকার প্রায় ১.০ মিলিয়ন হেক্টর জমি বিভিন্ন ধরনের লবণাক্ততায় জর্জরিত। এর অর্ধেক বা এক-তৃতীয়াংশ এলাকাও যদি উফশী আমন ও বোরো ধান চাষের আওতায় আনা যায়, তা আমাদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যথেষ্ট সহায়ক হবে। দেশের দৰিণাঞ্চলে অসংখ্য নদীনালা রয়েছে- যাতে অলবণাক্ত বা কম লবণাক্ত নদীর পানি সংরৰণ করে বোরো ধান উৎপাদন করা যায়। বিশেষ করে পোল্ডার এলাকায় সৱুইস গেট নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে খালে?পানি সংরৰণ করে খাল সংলগ্ন জমিতে অনায়াসে বোরো ধান বা অন্যান্য রবি ফসল উৎপাদন করা সম্ভব। কৃষকদের সরাসরি অংশগ্রহণের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে পরিচালিত গবেষণায় প্রতীয়মান হয় যে, নদীর পানি সুষ্ঠু ও পরিকল্পিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে লবণাক্ত এলাকার এক ফসলি জমিকে দুফসলি জমিতে রূপান্তির করা এবং হেক্টরপ্রতি মোট ৮-১০ টন ধান উৎপাদন করা সম্ভব। সুতরাং দৰিণাঞ্চলের লবণাক্ত এলাকার কৃষকদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন তথা দেশের ক্রমবর্ধমান জনগোষ্ঠীর খাদ্য নিরাপত্তার স্বার্থে উদ্ভাবিত আধুনিক কৃষি ও সেচ প্রযুক্তি বিশেষ করে উফশী আমন ধান ও নদীর পানি ব্যবহার করে বোরো ধান উৎপাদন প্রযুক্তি কৃষকের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করা একান্ত অপরিহার্য।
নন-ইউরিয়া সারের দাম আর একদফা কমলো
নন-ইউরিয়া সারের দাম আর একদফা কমলো
সরকার নন-ইউরিয়া সারের দাম দ্বিতীয় দফা কমিয়েছে। কৃষক পর্যায়ে প্রতি কেজি টিএসপি সার ৪০ টাকা থেকে কমিয়ে ২২ টাকা, এমওপি ৩৫ টাকা থেকে কমিয়ে ২৫ টাকা এবং ডিএপি ৪৫ টাকা থেকে কমিয়ে ৩০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এক সংবাদ সম্মেলনে সারের দাম কমানোর কথা জানান শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া। তিনি বলেন, ডিলার পর্যায়ে দাম হবে হবে প্রতি কেজি টিএসপি ২০, এমওপি ২৩ এবং?ডিএপি ২৮ টাকা। সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে সারের মূল্য নিম্নমুখী। এছাড়া জমিতে সুষম সার ব্যবহার কৃষককে উৎসাহী করার লৰ্যে?নন-ইউরিয়া সারের মূল্য পুননির্ধারণ করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। বর্তমান সরকার কৃষকবান্ধব, তাই কৃষকের স্বার্থে আবারো নন-ইউরিয়া সারের মূল্য কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।?তবে ইউরিয়া সারের দাম আগের মতো প্রতি কেজি ১২ টাকায় বিক্রি হবে বলে জানান কৃষিমন্ত্রী।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, মূল্য পুননির্ধারণের ফলে অতিরিক্ত ৫০০ কোটি টাকা সরকারকে ভর্তুকি দিতে হবে। আর এ নিয়ে সারে চলতি অর্থবছরে ভর্তুকির পরিমাণ দাঁড়াবে ৩ হাজার কোটি টাকা। উলেৱখ্য, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ৰমতা গ্রহণের পর ১৪ জানুয়ারি নন-ইউরিয়া সারে দাম কমিয়ে অর্ধেকে নামিয়ে আনে। তখন প্রতি কেজি টিএসপি ৮০ টাকা থেকে কমিয়ে ৪০ টাকা, এমওপি ৭০ টাকা থেকে ৩৫ টাকা এবং?ডিএপি ৯০ টাকা থেকে কমিয়ে?৪৫ টাকা করা হয়।
কৃষিমন্ত্রী?বলেন, দাম কমার ফলে কৃষক ইউরিয়ার ব্যবহার কমিয়ে নন-ইউরিয়া বেশি?ব্যবহার করবে। এতে ফসলের ফলন ভালো হবে। কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশে বছরে প্রায় ৪২ লাখ মেট্রিক টন সারের চাহিদা রয়েছে। এরমধ্যে সাড়ে ২৯ লাখ মেট্রিক টন ইউরিয়া এবং বাকিটা নন-ইউরিয়া।
বর্তমানে আমদানিকারক বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা উন্নয়ন করপোরেশন ও বাংলাদেশ?রসায়ন শিল্প করপোরেশনের (বিসিআইসি) কাছে?৩ লাখ?৫৫ হাজার মেট্রিক টনের বেশি?নন-ইউরিয়া সার মজুদ রয়েছে। -বিজ্ঞপ্তি।
বর্তমানে আমদানিকারক বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা উন্নয়ন করপোরেশন ও বাংলাদেশ?রসায়ন শিল্প করপোরেশনের (বিসিআইসি) কাছে?৩ লাখ?৫৫ হাজার মেট্রিক টনের বেশি?নন-ইউরিয়া সার মজুদ রয়েছে। -বিজ্ঞপ্তি।
*কনসালট্যান্ট (কৃষি),৭৫, মহাখালী, ব্র্যাক, ঢাকা-১২১২
No comments:
Post a Comment