অজৈব সার ব্যবহারে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা |
১। অজৈব সার প্রয়োগের আগে জানা দরকার মাটির মধ্যে কি পরিমাণ নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাশ আছে, এবং মাটি অম্ল, ক্ষারীয় বা নিরপেক্ষ আছে কিনা। যদি অম্লত্ব বা ক্ষারত্ব থাকে তাহলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার কথা আগে চিন্তা করতে হবে। |
২। ভালভাবে পচা জৈব সার যতটা সম্ভব জমিতে প্রয়োগ করা সম্ভব –ততটা দেওয়া উচিত। জৈব সার হিসাবে-গোবর, কম্পোস্ট, খইল, সবুজ সার, পাতা সার, বি.জি.এ. এ্যাজোলা ব্যবহার করা উচিত, তেমনি কেঁচোর চাষ ও কৃষকের মধ্যে জনপ্রিয় করে তুলতে হবে। |
৩। সেচ সেবিত এবং বৃষ্টি নির্ভর এলাকার জন্য-মাটি পরীক্ষার ভিত্তিতে সারের পরিমাণ নির্ধারণ করতে হবে। অম্ল মাটিতে রক ফসফেট জৈব সারের সাথে প্রয়োগ করলে ভাল ফল পাওয়া যায়। |
৪। নিবিড় চাষ পদ্ধতির জন্য এবং যথেচ্ছ ও অসম সার প্রয়োগের জন্য মাটিতে নানা রকমের অনুখাদ্য-র অভাব দেখা যায় ফলে উত্পাদন ব্যাহত হয়। নানান পরীক্ষার মাধ্যমে জানতে পারা গেছে যে মাটিতে জিংক, বোরোন বিশেষ করে অম্লমাটিতে এবং ক্যালকেরিয়া মাটিতে এর অভাব দেখা যায়। এই সমস্ত জমিতে জিংক, বোরোন, এর ফোলিয়ার স্প্রে এপ্লিকেশন করে ভাল ফল পাওয়া যায়। অল ইন্ডিয়া কো-অর্ডিনেটেড ট্রায়াল একটা সমীক্ষায় জানা যায়- প্রায় ৫০ ভাগ জমিতে বোরোন এবং ৩৬ ভাগ জমিতে জিংক-এর অভাব রয়েছে আমাদের পশ্চিম বাংলার জমিতে। জৈব সার প্রয়োগে– অনুখাদ্যের অভাব অনেকাংশে কম হয়। |
৫। ফসল উত্পাদনে এস. এর প্রয়োজনীয়তাও ভালভাবে লক্ষ্য করা যায়। বিশেষ করে চীনাবাদাম, আলু, সব্জী, তেল বীজের ক্ষেত্রে এর অভাব বেশী করে দেখা দেয়। বাদামের ক্ষেত্রে যখন পেগিং হয় তখন জিপাসাম প্রয়োগ করলে আশাতীত সুফল পাওয়া যায়। |
৬। অজৈব সারের এফিসিয়েন্সী বাড়াতে হলে কয়েকটি বিষয়ে নজর রাখা দরকার। |
৭। আমরা জানি এক কেজি নাইট্রোজেন প্রয়োগে ১০ কেজি, এক কেজি ফসফেট প্রয়োগে ৬ কেজি, এক কেজি পটাশ প্রয়োগে ৪ কেজি উত্পাদন বাড়ে। সাধারণ ভাবে দেশের ৪ কেজি উত্পাদন বাড়াতে হলে ০.১৫ শতাংশ সারের প্রয়োগ বাড়াতে হবে। সুতরাং আমাদের সামনে উত্পাদন একটি চ্যালেঞ্জ। |
Saturday, 14 May 2011
অজৈব সার ব্যবহারে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment